ক্রিকেটের অ্যাম্পায়ারিং এবং নীতিমালা Quiz

ক্রিকেটের অ্যাম্পায়ারিং এবং নীতিমালা Quiz

ক্রিকেটের অ্যাম্পায়ারিং এবং নীতিমালা সম্পর্কিত এই কুইজে পাঠকরা বিভিন্ন প্রশ্নের মাধ্যমে আম্পায়ারিংয়ের মূল দায়িত্ব, সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া এবং আইনগুলি জানবেন। এই কুইজের মধ্যে রয়েছে আম্পায়ারের সংখ্যা, প্রধান ভূমিকা, ম্যাচের সময় আঘাতের ক্ষেত্রে প্রতিক্রিয়া, মাঠের অবস্থান ও আবহাওয়া নিয়ে দায়িত্ব, এবং বিভিন্ন পরিস্থিতিতে তাদের সিদ্ধান্তের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা। এছাড়া, আম্পায়াররা কীভাবে সঠিক খেলার সিদ্ধান্ত নেন এবং বিরোধগুলি কিভাবে সমাধান করেন, তাও আলোচিত হবে। উদ্দেশ্য হল ক্রিকেটের আম্পায়ারিং নিয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করা, যা খেলায় আসল নীতিমালা ও পরিচালনার প্রক্রিয়া বোঝাতে সাহায্য করবে।
Correct Answers: 0

Start of ক্রিকেটের অ্যাম্পায়ারিং এবং নীতিমালা Quiz

1. ক্রিকেট ম্যাচে সাধারণত কতজন আম্পায়ার নিযুক্ত করা হয়?

  • চার জন
  • দুই জন
  • এক জন
  • তিন জন

2. ক্রিকেট ম্যাচে একজন আম্পায়ারের প্রধান ভূমিকা কী?

  • আম্পায়ার মাঠের ঘটনা নিয়ে আইন অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেন।
  • আম্পায়ার ক্রীড়াবিদদের প্রশিক্ষণ দেন।
  • আম্পায়ার দর্শকদের সাথে সম্পর্ক রক্ষা করেন।
  • আম্পায়ার খেলা পরিচালনা করেন এবং স্কোর রাখেন।


3. যদি একজন আম্পায়ার ম্যাচের সময় আহত হন তবে কি হয়?

  • আম্পায়ার পরিবর্তন করে নতুন আম্পায়ারকে নিয়োগ করা হয়।
  • ম্যাচ স্থগিত করা হয় এবং আর খেলা হয় না।
  • অতি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত লুকিয়ে রাখা হয় অবশেষে।
  • খেলোয়াড়দের সেটে রাখতে হয় এবং আউট ঘোষণা করা হয়।

4. আম্পায়াররা কিভাবে সঠিক ও অসত্য খেলাকে নির্ধারণ করে?

  • আম্পায়াররা একচেটিয়া বিচারক হিসেবে কাজ করেন।
  • আম্পায়াররা মাঠের বাইরে থেকে সিদ্ধান্ত নেন।
  • আম্পায়াররা শুধুমাত্র স্কোরবোর্ড দেখে সিদ্ধান্ত নেন।
  • আম্পায়াররা খেলা থামিয়ে দেন এবং দর্শকদের মতামত নেন।

5. মাঠের অবস্থান, আবহাওয়া এবং আলো সম্পর্কে আম্পায়ারের দায়িত্ব কী?

  • মাঠের অবস্থান এবং দর্শকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
  • মাঠের ফিটনেস, আবহাওয়া এবং আলো সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া।
  • প্রতিটি ওভারের নির্ধারিত সময় নিশ্চিত করা।
  • প্রতি ইনিংসে ব্যাটসম্যানদের পরিবর্তন করা।


6. কি আম্পায়ার একটি ম্যাচের সময় দিকে পরিবর্তন করতে পারেন?

  • না, আম্পায়ার প্রতি ইনিংসে একবারই দিকে পরিবর্তন করতে পারেন।
  • হ্যাঁ, আম্পায়ার ম্যাচের সময় দিকে পরিবর্তন করতে পারেন।
  • হ্যাঁ, আম্পায়ার কখনোই দিকে পরিবর্তন করতে পারেন না।
  • না, আম্পায়ার ম্যাচের সময় দিকে পরিবর্তন করতে পারেন না।

7. আম্পায়াররা একটি ম্যাচের সময় বিরোধগুলি কীভাবে পরিচালনা করেন?

  • আম্পায়াররা খেলোয়াড়দের বরখাস্ত করেন।
  • আম্পায়াররা একে অপরের সঙ্গে আলোচনা করেন।
  • আম্পায়াররা প্রতিযোগিতাকে এড়িয়ে যান।
  • আম্পায়াররা বিতর্কের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন।

8. আম্পায়াররা সিদ্ধান্ত জানানোর জন্য কী সংকেত ব্যবহার করে?

  • হাত বাড়িয়ে দেখান
  • দুটি আঙুল ভয় দেখান
  • আঙুল তুলুন
  • মাথা নেড়ে জানান


9. যদি বল মাঠে একটি বিদেশী বস্তুর সাথে স্পর্শ করে তবে কি হয়?

  • আম্পায়ার পাঁচটি পেনাল্টি রান অন্যদলকে দিতে পারেন।
  • খেলা বন্ধ হয়ে যাবে।
  • বাউন্ডারি রান দেওয়া হবে।
  • বলটি বাইরে চলে যাবে।

10. আম্পায়ার একটি ম্যাচের সময় স্কোরগুলোর সঠিকতা কিভাবে নিশ্চিত করে?

  • আম্পায়ার প্রতিবেদন তৈরি করে এবং ম্যাচ শেষে তা জমা দেন।
  • আম্পায়ার শুধুমাত্র দলের অধিনায়কদের সাথে আলোচনা করেন।
  • আম্পায়ার স্কোরারদের সাথে রান, উইকেট এবং ওভার নিয়ে একমত হন।
  • আম্পায়ার খেলোয়াড়দের মধ্যে ঝগড়া সমাধান করেন।

11. আন্তর্জাতিক বা গুরুত্বপূর্ণ স্থানীয় ম্যাচে তৃতীয় আম্পায়ারের ভূমিকা কী?

  • তৃতীয় আম্পায়ারের ভিডিও রিপ্লে দেখার এবং মাঠের আম্পায়ারকে ভুল সিদ্ধান্ত সম্পর্কে জানানোর ক্ষমতা আছে।
  • তৃতীয় আম্পায়ার কেবল মাঠের আম্পায়ারকে পছন্দের সিদ্ধান্ত জানাতে পারে।
  • তৃতীয় আম্পায়ার শুধুমাত্র খেলোয়াড়দের আচরণ বিষয়ক সিদ্ধান্ত নেয়।
  • তৃতীয় আম্পায়ার অতিরিক্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে খেলায় প্রভাব ফেলতে পারে।


12. যদি একটি ব্যাটসম্যান আঘাত পেলে কি তাকে একটি রানার থাকতে পারে?

  • না, ব্যাটসম্যানকে মাঠ ছাড়তে হবে।
  • না, রানার দেওয়ার নিয়ম নেই।
  • হ্যাঁ, কিন্তু আম্পায়ারকে একটি পরিষ্কার দর্শন নিতে হবে।
  • হ্যাঁ, তবে এটি কর্মকর্তাদের অনুমোদন প্রয়োজন।

13. যখন একটি ফিল্ডার বল ধরতে গিয়ে সীমানা লাইন স্পর্শ করেন, তখন আম্পায়ার কী ঘোষণা করেন?

  • বল ডেড
  • ফিল্ডারের বুক থেকে নট আউট – ৬ রান
  • এক রান দেওয়া হবে
  • ফিল্ডারের ক্যাচ আউট
See also  ঐতিহাসিক ক্রিকেট খেলার স্মৃতিচারণ Quiz

14. যদি একটি ব্যাটসম্যান বলয়ের রান চুরি করার সময় ঘটে?

  • কর্মকর্তারা বলটি ডেড বল হিসাবে ঘোষণা করে।
  • বলটি ফ্রি হিট হিসাবে ঘোষণা করা হবে।
  • ব্যাটসম্যানকে আউট ঘোষণা করা হবে।
  • রানটি গোনা হবে এবং বল চালিয়ে যেতে হবে।


15. পিচের সুরক্ষিত এলাকা কী?

  • সুরক্ষিত এলাকা ১২০ বর্গফুট।
  • সুরক্ষিত এলাকা ৭০ বর্গফুট।
  • সুরক্ষিত এলাকা ৯৬ বর্গফুট।
  • সুরক্ষিত এলাকা ৮০ বর্গফুট।

16. যদি একটি বল স্ট্রাইকারের উইকেটের সামনে পড়ে যায় তবে আম্পায়ার কী করবেন?

  • আম্পায়ার কিছু করবেন না
  • আম্পায়ার ডেড বল ঘোষণা করবেন
  • আম্পায়ার আউট ঘোষণা করবেন
  • আম্পায়ার নো বল ঘোষণা করবেন

17. যদি একজন বোলার পিচের ধারে অনুশীলন করে এবং প্রথম স্লিপ ফিল্ডারও বল ফিরিয়ে দেয় তবে আম্পায়ার কী করবে?

  • আম্পায়ার বোলারকে জরিমানা করবেন।
  • আম্পায়ার পাঁচ ওভারের জন্য বোলিং নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবেন।
  • আম্পায়ার কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন না।
  • আম্পায়ার খেলাটি বন্ধ করবেন।


18. স্কোরাররা অতীতে ৫টি বল দেওয়ার কথা বললে আম্পায়ারের কী করা উচিত?

  • আম্পায়ারকে ব্যাটসম্যানকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।
  • আম্পায়ারকে সব বেইল সরিয়ে ফেলতে হবে।
  • আম্পায়ারকে একটি ফ্রি হিট দেবেন।
  • আম্পায়ারকে নতুন বল দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

19. খেলাধুলার সময় খেলোয়াড়দের জন্য যে স্থগিত করার সময়ে আম্পায়ারের দায়িত্ব কী?

  • খেলায় সফল হওয়া
  • খেলা বন্ধ রাখা
  • খেলা পুনরায় শুরু করা
  • খেলোয়াড়দের সঙ্গে আলোচনা করা

20. একজন উইকেট কিপার বোলারের রান-আপ শেষ করার সময় তিনটি পা সামনে সরলে আম্পায়ারের কী করা উচিত?

  • কিছু করা উচিত নয়।
  • আম্পায়ার বোলারকে সংকেত দিতে হবে।
  • আম্পায়ারকে সতর্ক করতে হবে।
  • আম্পায়ার রান আউট ঘোষণা করতে হবে।


21. যে সংকেতগুলি আম্পায়ার ম্যাচ চলাকালীন সিদ্ধান্ত জানাতে ব্যবহার করেন কী?

  • আম্পায়ার বিশেষ সংকেত ব্যবহার করেন।
  • দর্শকদের সংকেত দেওয়া হয়।
  • প্রতিটি খেলোয়াড়ের সংকেত বুঝানো হয়।
  • মাঠে অন্য খেলোয়াড়ের সংকেত পাঠানো হয়।

22. যদি একটি ব্যাটসম্যান একটি অনুশীলনের বলের দিকে আক্রমণ করে এবং তা নো বল হয় তবে কি হবে?

  • ব্যাটসম্যান এর শরীরের সাথে বল মুখামুখি হলে নো বল বলে ঘোষিত হবে।
  • ব্যাটসম্যান আউট হবে কারণ বল খেলার জন্য প্রস্তুত ছিল।
  • ব্যাটসম্যান নো বল হলেও রান পাবে।
  • ব্যাটসম্যানকে অন্যদের আউট করার জন্য দায়ী করা হবে।

23. যদি একটি ব্যাটসম্যান ম্যাচে ২ ফুট অনসাইডে দাঁড়িয়ে থাকে, তখন কাছে খেলোয়াড়রা থাকে তবে আম্পায়ার কী করবেন?

  • আম্পায়ার ৫ রান পেনাল্টি করবে
  • আম্পায়ার ব্যাটসম্যানকে সাজানোর নির্দেশ দিবেন
  • আম্পায়ার বলকে ডেড বল ঘোষণা করবে
  • আম্পায়ার বলটিকে নো বল ঘোষণা করবে


24. যদি একটি ব্যাটসম্যান রান চুরি করার চেষ্টা করে যিনি স্লিপে ক্রিকেট মুদ্রা পাতিছলে অপরাধ করেন তবে কী হবে?

  • ব্যাটসম্যান সোজা রান নিতে পারবে।
  • ব্যাটসম্যান ব্যাটিং চালিয়ে যাবে।
  • এটির জন্য কোনো শাস্তি নেই।
  • রান চুরি করে ব্যাটসম্যান আউট হবে।

25. সীমারেখার সীমানা সঠিকভাবে নির্ধারণের জন্য আম্পায়াররা কীভাবে কাজ করেন?

  • তারা শুধুমাত্র দর্শকদের মতামত গ্রহণ করেন।
  • তারা আগের ম্যাচের ডেটা ব্যবহার করেন।
  • আম্পায়াররা খেলোয়াড়দের সাথে আলোচনা করে সীমানা নির্ধারণ করেন।
  • তারা সীমানা নির্ধারণ করতে মেঘের দিকে তাকান।

26. যদি একটি বল স্ট্রাইকারের উইকেটের সামনে হিট করে, তবে কি হয়?

  • বলটি কাঠগড়তে লাগলে আউট হবে।
  • বলটি লাগলে ব্যাটসম্যানকে সতর্ক করা হবে।
  • বলটি কাঠগড়তে লাগলে রান হিসেবে গণ্য হবে।
  • বলটি ঠেকলে এক বল নিষিদ্ধ হবে।


27. যদি একটি ফিল্ডার সীমানা লাইন স্পর্শ করতে গিয়ে বল ধরে তবে আম্পায়ার কী করবেন?

  • আম্পায়ার ব্যাটসম্যানকে `নট আউট` ঘোষণা করবেন – ৬ রান।
  • আম্পায়ার বলটি `ডেড বল` ঘোষণা করবেন।
  • আম্পায়ার ব্যাটসম্যানকে `আউট` ঘোষণা করবেন।
  • আম্পায়ার কোন সিদ্ধান্ত নেবেন না।

28. দ্বিতীয় রান করার সময় দুটি ব্যাটসম্যান যদি একে অপরকে পার করেন এবং বল সীমানা লাইন ছুঁয়ে যায় তাহলে আম্পায়ার কী করবেন?

  • আম্পায়ার খেল চালানোর জন্য বলবেন।
  • আম্পায়ার ৫ রান পুরস্কার দেবেন।
  • কোনও কিছু করবেন না।
  • ব্যাটসম্যান আউট ঘোষণা করা হবে।

29. একটি বল যেটি স্ট্রাইকারের উইকেটের সামনে পড়ে যায় তার সাথে আম্পায়ার কী করবে?

  • আম্পায়ার নো বল এবং ডেড বল হিসেবে কল করবেন।
  • আম্পায়ার ম্যাচ বন্ধ করবেন।
  • আম্পায়ার আউট ঘোষণা করবেন।
  • আম্পায়ার বোলারকে সতর্ক করবেন।


30. যদি জানানো হয় যে একটি ব্যাটসম্যান ২ ফুট অনসাইডে দাঁড়িয়ে থাকে এবং বলটি অফ স্টামপের বাইরে যায় তবে আম্পায়ার কী করবেন?

See also  ক্রিকেট ও টেলিভিশনের সম্পর্ক Quiz
  • আম্পায়ার বলটি নো বলের সংকেত দেবেন।
  • আম্পায়ার বলটি আউটের সংকেত দেবেন।
  • আম্পায়ার বলটি ওয়াইডের সংকেত দেবেন।
  • আম্পায়ার বলটি ডেড বলের সংকেত দেবেন।

কুইজ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে

ক্রিকেটের অ্যাম্পায়ারিং এবং নীতিমালা নিয়ে আমাদের কুইজটি সম্পন্ন হওয়ায় আপনাকে অভিনন্দন! এই অধ্যায়ে আপনারকার্যত শিখল বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক। আপনি অ্যাম্পায়ারদের দায়িত্ব, নিয়ম এবং তাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পর্কে আরও জানতে পারলেন। এটি কেবল আপনার ক্রিকেট খেলার সাধারণ জ্ঞানই বৃদ্ধি করেনি, বরং আপনার ক্রীড়া বিষয়ক বোঝাপড়ার ক্ষেত্রেও নতুন আলো ফেলেছে।

এটি একটি শিক্ষামূলক অভিজ্ঞতা ছিল, যা ক্রিকেট অ্যাম্পায়ারিংয়ের জটিলতা ও গুরুত্বকে তুলে ধরেছে। আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছিলেন, কিভাবে একটি সঠিক সিদ্ধান্ত ম্যাচের ফলাফলকে প্রভাবিত করতে পারে। আমাদের কুইজের মাধ্যমে, আপনি বিভিন্ন নিয়মের বর্ণনা এবং তাদের কার্যকারিতা নিয়ে নতুন ধারণা পেয়েছেন। এর মাধ্যমে আপনার ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা আরও গাঢ় হয়েছে।

আপনারা যদি আরও জানতে চান, তবে আমাদের পৃষ্ঠার পরবর্তী অংশে ক্রিকেটের অ্যাম্পায়ারিং এবং নীতিমালা সম্পর্কে বিস্তৃত তথ্য রয়েছে। এখানেই আপনাকে আরও গভীরভাবে ক্রিকেটের এ গুরুত্বপূর্ণ দিক সম্পর্কে জানতে সাহায্য করবে। আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন এবং আগ্রহী থাকলে সেখানে যান। ক্রিকেটের জগতে আরো জানার সুযোগ পুরোপুরি গ্রহণ করুন!


ক্রিকেটের অ্যাম্পায়ারিং এবং নীতিমালা

ক্রিকেটের অ্যাম্পায়ারিং: সংজ্ঞা এবং গুরুত্ব

ক্রিকেটের অ্যাম্পায়ারিং হলো একটি খেলার নিয়ম অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়া। অ্যাম্পায়ার খেলাটির সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। তাদের দায়িত্ব হলো খেলার সুষ্ঠুতা নিশ্চিত করা, নিয়ম মেনে খেলা হচ্ছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করা। আমি ক্রিকেট খেলায় অ্যাম্পায়ারিংয়ের গুরুত্ব লক্ষ্য করি। তারা সিদ্ধান্ত নিয়ে খেলায় দোষের জন্য শাস্তি প্রদান করতে পারেন, যা খেলার ফলাফলকে প্রভাবিত করে। তাই অ্যাম্পায়ারদের উপর সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া বাধ্যতামূলক।

ক্রিকেটের নীতিমালা: মৌলিক নিয়মাবলী

ক্রিকেটের নীতিমালা বিভিন্ন দিক নিয়ে গঠিত। এটি খেলার নিয়ম, অ্যাম্পায়ারিং, এবং খেলোয়াড়ের আচরণ নিয়ন্ত্রণ করে। ক্রিকেট বোর্ড, যেমন আইসিসি (International Cricket Council), গাইডলাইন প্রণয়ন করে। এই নিয়মাবলী অনুসরণ করা প্রত্যেক খেলোয়াড় এবং অ্যাম্পায়ারের জন্য বাধ্যতামূলক। উদাহরণস্বরূপ, আউট হওয়ার বিভিন্ন নিয়ম রয়েছে, যেমন লেগ বিফোর উইকেট (LBW) এবং ক্যাচ আউট।

অ্যাম্পায়ারের ভূমিকাসমূহ

অ্যাম্পায়ারের ভূমিকা খেলার সময় বেশ বৈচিত্র্যময়। তারা সিদ্ধান্ত নেন এবং খেলার সুষ্ঠুতা রক্ষা করেন। তাদের মূখ্য কাজ হলো পিচে ডেলিভারি প্রক্রিয়া, রান, আউট হওয়া, এবং ফিল্ডিংয়ের উপর নজর রাখা। অ্যাম্পায়ারের সিদ্ধান্ত সর্বদা চূড়ান্ত। তারা দায়িত্বশীল খেলোয়াড়দের আচরণ পর্যবেক্ষণ করেন এবং নিয়ম লঙ্ঘন হলে পদক্ষেপ নেন।

দৃশ্যমান প্রযুক্তির ব্যবহার অ্যাম্পায়ারিংয়ে

বর্তমান ক্রিকেটে প্রযুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। রিভিউ সিস্টেম, যেমন (DRS) ডিওরিফারেল রিভিউ সিস্টেম, অ্যাম্পায়ারদের সিদ্ধান্তের সত্যতা যাচাই করতে সাহায্য করে। ফ্যাল প্লে, স্লো-মোশন ভিডিও এবং থ্রো-কম্পিউটার প্রযুক্তি সিদ্ধান্ত নিতে সহজ করে। অ্যাম্পায়াররা সঠিকভাবে সত্যতার খোঁজে প্রযুক্তির সহায়তা নেন। এটি প্রযুক্তির প্রভাবে খেলার মান বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ক্রিকেটে অ্যাম্পায়ারিংয়ের ভবিষ্যৎ

অ্যাম্পায়ারিংয়ের ভবিষ্যৎ প্রতিবাদ ও প্রযুক্তির সঙ্গে প্রসারিত হতে পারে। নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন নিশ্চয় অ্যাম্পায়ারদের কাজ সহজ করবে। খেলাধুলার সাম্প্রতিক পরিবর্তনগুলোর সাথে মানিয়ে নিয়ে এটি উন্নত হবে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, এগুলো অ্যাম্পায়ারিংয়ে এগিয়ে থাকবে। ভবিষ্যতে ফুটবল বা টেনিসের ন্যায় আরো টেকসই ও নির্ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ক্রিকেটের অ্যাম্পায়ারিং কী?

ক্রিকেটের অ্যাম্পায়ারিং হল ম্যাচ পরিচালনা করার প্রক্রিয়া যেখানে অ্যাম্পায়াররা খেলার নিয়মগুলির তত্ত্বাবধান করেন। তারা পিচ, বোলিং, ফিল্ডিং এবং ব্যাটিংয়ের সময় বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (ICC) এর নির্ধারিত নিয়মাবলী অনুসারে, অ্যাম্পায়াররা এলবিডব্লিউ, অউট এবং অন্যান্য নির্ধারণমূলক সিদ্ধান্ত নেন।

ক্রিকেটের অ্যাম্পায়ারিংয়ে কীভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়?

অ্যাম্পায়াররা বিভিন্ন তথ্য এবং অভিজ্ঞতা ব্যবহার করে সিদ্ধান্ত নেন। তারা খেলোয়াড়দের আচরণ, বলের অবস্থান ও গতির ওপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেন। সংশ্লিষ্ট পর্যায়ে, টিভি রিপ্লে সহ প্রযুক্তিগত সাহায্যও ব্যবহার করা হয়। উদ্যোগের প্রক্রিয়া, যেমন DRS (ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম), সিদ্ধান্ত গ্রহণকে আরও সচেতন ও সঠিক করতে সাহায্য করে।

ক্রিকেটের অ্যাম্পায়াররা কোথায় কাজ করেন?

ক্রিকেটের অ্যাম্পায়াররা সমস্ত ধরনের ক্রিকেট ম্যাচে কাজ করেন। এদের কাজ জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দেখা যায়। বিশেষজ্ঞ অ্যাম্পায়াররা আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট ও সিরিজে নিযুক্ত হন। স্বাভাবিকভাবে, তারা মাঠে উপস্থিত থেকে খেলাধুলার সকল দিক তত্ত্বাবধান করেন।

ক্রিকেট ম্যাচে অ্যাম্পায়ারিং কখন করা হয়?

অ্যাম্পায়ারিং খেলা শুরু হওয়ার সাথে সাথে শুরু হয় এবং ম্যাচের শেষ পযর্ন্ত চলে। প্রতিটি ইনিংসে, প্রতি ওভারের প্রতিটি বলের সময় অ্যাম্পায়ারদের দায়িত্ব থাকে। মাঠের অবস্থা, বল এবং খেলোয়াড়ের আচরণের উপর ভিত্তি করে তারা সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন বা নির্দেশনা দেন।

ক্রিকেটের অ্যাম্পায়ার হিসাবে কে কাজ করে?

ক্রিকেটের অ্যাম্পায়ার হিসেবে সাধারণত অভিজ্ঞ এবং প্রশিক্ষিত পেশাদাররা কাজ করেন। এদের মধ্যে ICC দ্বারা স্বীকৃত অ্যাম্পায়ার এবং দেশের স্থানীয় পরীক্ষিত অ্যাম্পায়াররা অন্তর্ভুক্ত থাকে। তারা নির্ভরযোগ্য এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য প্রশিক্ষিত হন।

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *